সোমবার, ২৬ মে ২০২৫, ০৯:৫১ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
কোরবানির পশুর চামড়ার নতুন দাম নির্ধারণ করল সরকার বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন সিদ্দিকের প্রাক্তন স্ত্রী জেলের অকালমৃত্যু: পরিবারের পাশে গার্ডিয়ান লাইফ ইনস্যুরেন্স চুরি করা সিএনজির রূপ পরিবর্তন করে বিক্রি করতো চক্রটি প্রেমিকের বাড়িতে অনশনরত অবস্থায় নির্যাতনের শিকার প্রেমিকা স্ত্রীকে জোরপূর্বক নিয়ে গিয়ে আটকে রাখার অভিযোগ স্বামীর অবশেষে অজ্ঞাত শিশুটির অভিভাবকের সন্ধান মিলেছে টি-টোয়েন্টিতে শূন্যের অপ্রত্যাশিত রেকর্ডে শীর্ষে সাকিব চট্টগ্রাম পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ এবং সবুজ নগরী গড়তে শিক্ষার্থীদের ভূমিকা অনেক: সিটি মেয়র শাহাদাত… সিরাজগঞ্জে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে পরপর দুইদিন চর ছোনগাছা ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা বন্ধ
বাংলাদেশে এবার নষ্ট মোবাইল ফেরত দিলে মিলবে টাকা

বাংলাদেশে এবার নষ্ট মোবাইল ফেরত দিলে মিলবে টাকা

ডেস্ক নিউজঃ নষ্ট মোবাইল ফোন কী করবেন, কোথায় ফেলবেন – এ নিয়ে অনেকে বেশ চিন্তিত থাকেন। এটি এমন এক ধরণের জিনিস যা নষ্ট হয়ে গেলেও সহজে ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলতেও খারাপ লাগে। তাহলে কী করা যেতে পারে? বাংলাদেশের মোবাইল ফোন আমদানিকারকরা বলছেন, নষ্ট মোবাইল ফোন তাদের কাছে জমা দিলে টাকা পাওয়া যাবে।

বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রুহুল আলম আল মাহবুব জানিয়েছেন, নষ্ট মোবাইল ফোন ফেরত দিলে যাতে ফোনের মালিক কিছু টাকা পায় – সে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। একটি মোবাইল ফোন সেট গড়ে তিন বছরের বেশি ব্যবহার করা যায়না। ফলে তিন বছর পরে এটি ইলেকট্রনিক বর্জ্যে পরিণত হয়।

প্রথম দফায় ঢাকার পাঁচ থেকে ১০টি শপিং মলে এ উদ্যোগ কার্যকর করা হবে। এরপর পুরো বাংলাদেশে সেটি চালু হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। খুব শীঘ্রই এ ব্যবস্থা চালু হতে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করে রুহুল আলম বলেছেন, ‘বাংলাদেশের ১০০টি শপিং মলে আমাদের বুথ থাকবে, যেখানে নষ্ট মোবাইল ফোন ফেরত দিয়ে টাকা পাওয়া যাবে।’

মোবাইল ফোন আমদানিকারকদের সংগঠন বলছে, বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় চার কোটি মোবাইল হ্যান্ড সেট নষ্ট হয়। গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ প্রতি বছর প্রায় তিন কোটি হ্যান্ড সেট আমদানি করা হচ্ছে। ফলে এখান থেকে যে ইলেকট্রনিক বর্জ্য তৈরি হচ্ছে সেটি পরিবেশের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা।

রুহুল আলম বলেন, যারা নষ্ট মোবাইল ফোন দিতে আসবে, তাদের যদি কিছু টাকা না দেয়া হয়, তাহলে বিষয়টিতে মানুষজনের আগ্রহ থাকবে না। তবে কত টাকা দেয়া হবে – সেটি নির্ধারিত হবে মোবাইল ফোনের অবস্থার উপর ভিত্তি করে।

নষ্ট মোবাইল দিয়ে কী হবে?

বাংলাদেশে প্রতি বছর বেশ দ্রুততার সাথে ইলেকট্রনিক বর্জ্য বাড়ছে। বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তরের এক হিসেবে বলা হচ্ছে, ২০১৮ সালে বাংলাদেশে চার লাখ টন ইলেকট্রনিক বর্জ্য হয়েছে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে এটি ১২ লাখ টন ছাড়িয়ে যাবে।

মোবাইল ফোন ইমপোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রুহুল আলম আল মাহবুব বলছেন, ইলেকট্রনিক বর্জ্যের মাধ্যমে পরিবেশ দূষণের মাত্রা অবনতির দিকে যাচ্ছে। এ দূষণ ঠেকানোর জন্যই নষ্ট মোবাইল ফোন সেট সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছেন তারা। তিনি বলেন, ‘এ উদ্যোগ সফলভাবে কার্যকর করা গেলে, নষ্ট ল্যাপটপ কিংবা অন্যান্য ইলেকট্রনিক বর্জ্য সংগ্রহের প্রবণতা গড়ে উঠবে।’

নষ্ট মোবাইল ফোন সেট সংগ্রহ করে সেগুলো বিভিন্ন রি-সাইক্লিং শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে সরবরাহ করা যাবে। এসব ফোন সেটের বিভিন্ন উপাদান থেকে নানা রকমের জিনিস উৎপাদনের কাজে লাগতে পারে। রুহুল আলম বলেন, ‘আমরা সম্পূর্ণ সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে কাজটি করছি। তবে এজন্য সরকার এবং রি-সাইক্লিং শিল্পকে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ, নষ্ট মোবাইল ফোন ফেরত দিয়ে মানুষ যদি কিছু টাকা না পায়, তাহলে তারা উৎসাহিত হবে না।’

বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com